৩ বছরে ২৭,০০০ কিলোমিটার চালিয়ে Hero ignitor ১২৫ সিসি এর ইউজার রিভিউ দিচ্ছি। Kanti360

 ৩ বছরে ২৭,০০০ কিলোমিটার চালিয়ে Hero ignitor ১২৫ সিসি এর ইউজার রিভিউ দিচ্ছি।প্রথমে অনেকের কাছে অনেক কথা শুনেছি এই বাইকটা নেয়ার পর, কিন্তু আমি তাতে মোটেও কান দেইনি, নিজের মতো করে বাইকের যত্ন নিতাম। আর আমার মনেহয় যত্নের কারনেই রত্নের মতো বাইকটা
আমাকে সাপোর্ট দিচ্ছে। এবার আসা যাক খারাপ এবং ভালো দিক নিয়ে।
প্রথমেই খারাপ দিক গুলো বলা যাক (যদিও আমার এই বাইকের কোনোকিছুই তেমন খারাপ মনে হয়নি তারপরও আমার কাছে যেটা যেটা কম মনে হয়েছে)
১- এটার টায়ার সাইজ আরো একটু বাড়িয়ে দিতে পারতো ( নোটঃ টায়ারের সাইজের উপর মাইলেজ ডিপেন্ড করে, হয়তো মাইলেজ বেশি পাওয়ার জন্য এটার পেছনের টায়ার সাইজ এরকম, তবে আমার কাছে
১২৫ সিসি হিসেবে এর থেকে বড় সাইজের এই বাইকের জন্য প্রয়োজন নেই)
২- ব্যাটারি - এই পর্যন্ত ২বার ব্যাটারি চেঞ্জ করতে হয়েছে।
৩- মিটার - স্পীডো নিটার টা ডিজিটাল দিলে আরো ভালো দেখাতো, এনালগ টা যদি আরপিএম মিটার হতো!
৪- ব্রেকিং- যদিও এই বাইকের সামনের ব্রেক অসাধারণ, কিন্তু পেছনের ব্রেক নিয়ে একটু সমস্যা আছে। ইমার্জেন্সি টাইমে এটার পেছনের ব্রেক চাপলে ভালোই স্কীড করে। তবে পিলিয়ন নিয়ে রাইড করলে এর
৫- হেডলাইট - এটার হেডলাইট এসি হওয়াতে পিকয়াপ এর সাথে সাথে এর পাওয়ার বাড়ে কমে, এটা খুবই বিরক্তিকর, রাতে এর ভিজিবিলেটি খুবই কম। তাই আমি ডিসি করে মটো এলইডি ২কালার
লাইটটি লাগিয়েছিলাম, আর পালসার এর ডুয়াল হর্ন রিলে ব্যাবহার করে লাগিয়েছিলাম।
এবার আসি ভালো দিক নিয়ে, ভাই আগে এটা মাথায় রাখেন যে এটা ১২৫ সিসির বাইকের ভেতর সব থেকে কম দামে ভালো বাইক🥰
১- এর রেডি পিকয়াপ- বিলিভ মি, আপনি যদি কোনো ১২৫ সিসি বাইক ১৫০ সিসির আনারি রাইডারের সাথে টক্কর দিতে চান, তাইলে কেবল ইগ্নিটর দিয়ে সেটা করা সম্ভব, ১গিয়ারে ২৭ এটা
২-টপ স্পীড - আমি যখন ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে এটা দিয়ে ১২৫ স্পীড তুলি, সাথে ছিলো জিক্সার আর পালসার। তারা আমাকে কি বলবে তারা নিযেরাই ভেবে পাচ্ছে না, যদিও আমি সিঙ্গেল
রাইডার ছিলাম। আর পিলিয়ন নিয়ে এর টপ স্পীড ১১৭। তবে আমার মনেহয় এটা দিয়ে এতো স্পীড তোলা ঠিক না, কারন এটা ১১০ এর উপরে গেলে ভালোই কাপাকাপি করে, অভিজ্ঞ রাইডার
৩- ব্রেকিং - এই বাইকের সব থেকে ভালোলাগে এর সামনের ব্রেক টা অনেক সিচুয়েশনে আমি এর ব্রেকিং এর অনেক ভালো ফিডব্যাক পেয়েছি পিলিয়ন সহ রাইড করলে ব্রেকিং এ আরো ভালো
কনফিডেন্স পাওয়া যায়। (প্রথম থেকেই আই বি এস ব্রেক দিলে আরো ভালো হতো)
৪- কন্ট্রোলিং - যদিও এটার পেছনের টায়ার একটু ছোটো কিন্তু এরপরো ডিস্কাভার ১২৫ এর তুলনায় এর কন্ট্রোলিং কনো অংশে কম নয়। ( এটার হ্যান্ডেলিং আমার কাছে বেশি টিপ টপ আর
৫ - এরটার লুকস- ১২৫ সেগমেন্ট এ সব থেকে বেটার লুকস, একমাত্র ইগ্নিটর এই পাবেন। সাথে ১৫০ সিসির মতো ফীল তো ফ্রী ( এজন্যই এটা কাকা ভাতিজা সবাইকে মানায়)।
৬- এর মাইলেজ - এটা যেভাবে আপনাকে পাওয়ার, ১৫০ সিসির ফীল, হুটহাট স্পীডিং দিবে সে হারে কম জালানিই ব্যাবহার করে, আমি সিটিতে এভারেজ ৪৫-৪৭ পাই। আর হাইওতে ৫৩। (পরিক্ষিত)
এটা নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল, কুয়াকাটা, বাগেরহাটে, মোড়লগঞ্জ, ঢাকা,রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কাপ্তাই ট্যুর দিয়েছি। আর এটা আমাকে কখনো নিরাস করেনি, বিপদেও ফেলেনি, আরো ছোটোখাটো ট্যুর তো দিয়েছিই।
সব থেকে বড়কথা হলো আপনি আপনার বাইককে যেভাবে মেন্টেইন করবেন আপনার বাইক ঠিক সেভাবেই আপনাকে সার্ভিস দিবে। ঠিক সময়ে মোবিল, এয়ার ফিল্টার, প্লাগ, চেইন টাইট এবং পরিবর্তন, চেইনে লুব দেয়া,
কার্বুরেটর ক্লিনিং। এগুলোই মুলত আপনাকে বেটার ফান দিবে। টানা তিন বছর চালিয়ে এটা এখন আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছে, জীবনের প্রথম বাইক এটা। তাই প্রেমটাও গভীর। অনেক সময় রীতিমতো
ইচ্ছা ছিলো ওকে দিয়েই মটো ব্লগিং শুরু করবো, কিন্তু কিছু কারনে তা আর হয়ে উঠছে না। 🥰
ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখে ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়েন, সবাই আমার জন্য এবং আমার ইগ্নুর জন্য দোয়া করবেন।
Review By:- Syed Afrin shakil
৩ বছরে ২৭,০০০ কিলোমিটার চালিয়ে Hero ignitor ১২৫ সিসি এর ইউজার রিভিউ দিচ্ছি। Kanti360  ৩ বছরে ২৭,০০০ কিলোমিটার চালিয়ে Hero ignitor ১২৫ সিসি এর ইউজার রিভিউ দিচ্ছি। Kanti360 Reviewed by গান ও কবিতা ঘর on September 14, 2020 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.